শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
ভয়েস অফ সুন্দরবন।।
ব্যাপক তৎপরতা আর উৎসাহ উদ্দীপনাযকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করতে দুর্বার গতিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন , শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন। প্রতিদিন কোন না কোন দূরগ্রাম দেখে আসছেন তিনি,দেখে আসছেন ওই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র। তার এই গতিশীলতাকে স্বাগতম জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ। এদিকে রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এসকে সিরাজ বলেন, ন্যায় সংগত সকল কাজে তার সাথে একমত পোষণ করে শ্যামনগর উপজেলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে, এমনটি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে সুন্দরবন উপকূলীয় বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চল গাবুরার দুর্গাম এলাকা ঘুরে নতুন অভিজ্ঞতার কথা নিজ ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন শ্যামনগর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার আব্দুল্লাহ আল রিফাত।
আজ অকস্মাৎ দর্শনে গিয়েছিলাম গাবুরার একটি মসজিদ কাম এতিমখানা। জানতে গিয়েছিলাম সৌদি সরকার উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে কিছু উপহার পাঠিয়েছিল সেগুলো তারা ঠিকঠাক আস্বাদন করতে পেরেছিল কিনা?
দেখে আসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাবুরা রক্ষা বাঁধের জন্য ব্লক তৈরির কর্মযজ্ঞ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ( যদিও চেয়ারম্যান সাহবকে না জানিয়ে গিয়েছিলাম), শুনে আসলাম কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার সুনাম স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে। বুঝলাম কাজের প্রতি আন্তরিক থাকলে জনগণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। ধন্যবাদ জানাতে চাই গাবুর কমিউনিটি ক্লিনিক টিমকে আন্তরিকভাবে জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য, কৃতজ্ঞতা দক্ষ UHFPO Shyamnagar মহোদয়কে তাঁর গাবুর কমিউনিটি ক্লিনিক টিমকে সীমাবদ্ধতাকে জয় করে সেবার মানসিকতা ধরে রেখে গাবুরাবাসীর জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।
জেনে আসলাম উপকূলীয় দুর্দমনীয় গাবুরাবাসীর জীবন সংগ্রামের কথা, দেখে আসলাম দূর্গম গাবুরা।
পরিশেষে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে চাই একদল অত্যন্ত পরিশ্রমী, সংগ্রামী এবং আশাবাদী ও উপকারী কিছু মোটরসাইকেল শ্রমিকের প্রতি , আপনাদের জন্যই আজ গাবুরাবাসীকে দেখতে পেলাম। আমার ধারনা ছিলোনা গাবুরার যোগাযোগ ব্যবস্থা এত প্রতিকূল।ধারণা ছিলনা সেখানে ভ্যান ও চলাচল করতে পারেনা
যাহোক গাবুরবাসীর প্রতি আমার মমত্ববোধ অতি জাগ্রত থাকবো আমার যতদিন শ্যামনগরে রিজিক আছে।ভালো থাকবেন প্রিয় গাবুরাবাসী।
আর হ্যাঁ, আরেকটি কথা না বললে আসলে হচ্ছে না।সেদিন ফেইথ ইন এ্যাকশনের একটা প্রজেক্ট( গাবুরাতে ২০২৪-২০২৯ এই পাঁচ বছরে প্রায় ০৯ কোটি টাকার কাজ হবে) অবহিতকরণ সভায় গাবুরার সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জি এম মাছুদুল আলম তার বক্তব্যে গাবুরাবাসীর কথা বলতে গিয়ে কেঁদে না ফেললে আমি হয়তো এত তাড়াতাড়ি সেখানে যাওয়ার মোটিভেশন পেতামনা না ।