মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ:

কুমিল্লা জেলার প্রতিটি থানায় সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কুমিল্লার কথা’। আপনি যদি সাংবাদিকতায় আগ্রহী হন, সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান, তাহলে এ সুযোগ আপনার জন্য। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 'কুমিল্লার কথা' অফিসে বা নিন্মে দেয়া মোবাইল নাম্বারে।

ঘুষখোর পিয়ন শরীফুল চান্দিনা থেকে মেঘনায় পদার্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা পৌর ভূমি অফিসের ঘুষবাজ ও কোটিপতি পিয়ন শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরপরই তাকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) কুমিল্লার একটি দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়ছার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘চান্দিনায় পৌর ভূমি অফিসের কোটিপতি পিয়ন শরীফুলকে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিককে বাবা ডেকে বসলেন- “আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে আমার ক্ষতি কইরেন না, আমি আপনার পায়ে পড়ি।”’ শিরোনামের ওই সংবাদে শরীফুল ইসলামের অনৈতিক সম্পদ অর্জন ও ঘুষের মাধ্যমে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার তথ্য উঠে আসে।
সংবাদটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসার পরপরই শরীফুলকে চান্দিনা পৌর ভূমি অফিস থেকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার সোনারচর ভূমি অফিসে বদলি করা হয়। জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারক নং ০৫.৪২.১৯০০.০১৬.৩২.০০৩.১৯-১২৫৯, তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৫ অনুযায়ী এই বদলির আদেশ জারি হয়।
বিষয়টি ওই দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “সংবাদটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জেলা প্রশাসকের নজরে গেলে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বদলিই যথেষ্ট নয়; ঘুষের সঙ্গে জড়িত এই কর্মকর্তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে অন্যরাও প্ররোচিত হবে, সেজন্য দ্রুত তদন্ত, স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।”
ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগে বদলি হওয়া শরীফুল ইসলাম এখন মেঘনা উপজেলার সোনারচর ভূমি অফিসে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মেঘনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃতা শারলীন রাজ্জাকের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।