বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
মো রাকিবুল্যাহ সোহাগ
শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ, ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত শ্যামনগর পৌরসভা বাতিলের দাবিতে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্যামনগর পৌরসভা একটি অবাঞ্ছিত সিদ্ধান্ত, কারণ এই অঞ্চলগুলো এখনো পৌরসভা হিসেবে গঠিত হওয়ার উপযুক্ত নয়। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর, কৃষিকাজ, অটো ও ভ্যানচালনার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। এমন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে পৌরসভার কর বা ট্যাক্স পরিশোধ করা সম্ভব নয়।বক্তারা আরও বলেন, শ্যামনগরে কোনো শিল্পকারখানা নেই, নেই কোনো বৃহৎ আয়ের উৎস। ফলে পৌরসভা গঠন জনগণের উন্নয়নের পরিবর্তে কেবল ভোগান্তি বাড়াবে।গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন —
শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ ইয়াসিন আরাফাত,
শ্যামনগরের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব লিয়াকত আলী বাবু,
ছাত্রনেতা মাসুম বিল্লাহ,
ছাত্রনেতা আবু রায়হান,
শিক্ষক জয়দেব বিশ্বাস,
এবং শ্যামনগর নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের মুখপাত্র মোঃ তামিম হাসানসহ আরও অনেকে।বক্তব্যে সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বাবু বলেন,“শ্যামনগরের মানুষ এখনো কোনো দিক থেকেই পৌরসভা হওয়ার মতো যোগ্য নয়। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়েও এই পৌরসভা ঘোষণার বিরোধিতা করেছি এবং এজন্য নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। যেকোনোভাবে এই পৌরসভা বাতিল করতে হবে।”উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন আরাফাত বলেন,“শ্যামনগরের মানুষের ওপর অযৌক্তিকভাবে একটি অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বোঝা জনগণের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।”সমাপনী বক্তব্যে শ্যামনগর নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের মুখপাত্র মোঃ তামিম হাসান বলেন,“শ্যামনগরের মানুষ এখনো খেটে খায়। এই অঞ্চল এখনো পৌরসভা উপযোগী নয়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছি— দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্যামনগর পৌরসভা বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”তিনি আরও জানান, শ্যামনগর পৌরসভা বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে, এবং এই আপিলের মাধ্যমেই শ্যামনগরের জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।