শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
ব্রেকিং নিউজ:

কুমিল্লা জেলার প্রতিটি থানায় সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কুমিল্লার কথা’। আপনি যদি সাংবাদিকতায় আগ্রহী হন, সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান, তাহলে এ সুযোগ আপনার জন্য। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 'কুমিল্লার কথা' অফিসে বা নিন্মে দেয়া মোবাইল নাম্বারে।

পরীক্ষা দিতে যাওয়া ঢাবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আটক : থানায় হস্তান্তর

স ম জিয়াউর রহমান
Update Time : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

 

 

 

স ম জিয়াউর রহমান :

পরীক্ষা দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে কতিপয় ছাত্র।

গতকাল ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সাইদী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী শিহাবুদ্দিন তৈমুর। দুজনই বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী।

সাইদী বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কর্মী ও তৈমুর ঢাবি ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।

ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, এই দুজনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হাজারীবাগে লেদার ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রক্টর আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তারা লেদার ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সেখানকার কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের আটক করেন। তখন ঢাবি প্রক্টরিয়াল বডির মোবাইল টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ওসি শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘আমরা তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমরা এখনও তাদের গ্রেপ্তার করিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে উদ্ধার করে তাদের নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আমরা পুলিশকে জানিয়েছি যে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে আগে একটি মামলা করা হয়েছিল।’

এদিকে ঢাবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করায় এবং পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় বিশিষ্টজনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে নাম প্রকাশ না করে বলেন, এভাবেই দেশ চলতে পারে না। পরীক্ষা দিতে না দেওয়া এক ধরনের চরম অন্যায় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয় থেকে বেরিয়ে না আসলে শিক্ষা ব্যবস্হার চরম সংকট তৈরি হবে।