শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
ব্রেকিং নিউজ:

কুমিল্লা জেলার প্রতিটি থানায় সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কুমিল্লার কথা’। আপনি যদি সাংবাদিকতায় আগ্রহী হন, সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান, তাহলে এ সুযোগ আপনার জন্য। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 'কুমিল্লার কথা' অফিসে বা নিন্মে দেয়া মোবাইল নাম্বারে।

রাজশাহীতে শেখ হাসিনা ও শাহারিয়ারের নামে অপহরণ মামলা

নুরুন নবী
Update Time : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

 

রাজশাহী প্রতিনিধি নূরুন নবী :

রাজশাহীর বাঘায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও তাঁর বাবা শামসুদ্দীনসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে বাঘা থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার।

বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করাহেয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ৩০ জনকে। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন,

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পিতা শামসুদ্দীন, শাহরিয়ারের পিএস সিরাজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন, চারঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র একরামুল হক, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী, বাঘা উপজেলা জাতীয় পর্টির সভাপতি মহিদুল ইসলাম, বাঘা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন সরকার।

অন্য আসামীরা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হক, বাঘার সাবেক প্যানেল মেয়র পিন্টু, আড়ানীর বাপ্পী, মারুফ মন্ডল, সেলিম, শিলন, হিমেল, ঝুন্টু, নুরুজ্জামান ও শাহীন, চারঘাটের রুহুল আমিন সরকার, মোকলেছুর রহামান বাচ্চু।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২০২৩ সালের ২১ মে বেলা দুইটার দিকে বাঘা নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকান থেকে ছাত্রদল নেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ও চোখমুখ বেঁধে তুলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরদিন তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয় এবং পায়ে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। তার পায়ের তিনটি নখ উপড়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। ২৮ মে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঢাকার আদালতে তাকে চালান দেওয়া হয়।