বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
রামগতি-ভোলার তজুমদ্দিনের সেলিমের টেকের চরে আটকে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ থেকে ক্যাপ্টন আবদুস সালামসহ ১৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি কোস্ট গার্ড।
মেঘনা নদীতে দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিনেও ডুবে যাওয়া এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজ উদ্ধার হয়নি। তবে রামগতি-ভোলার তজুমদ্দিনের সেলিমের টেকের চরে আটকে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ থেকে ক্যাপ্টন আবদুস সালামসহ ১৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি কোস্ট গার্ড।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোষ্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি জানান, দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষের খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কোস্ট গার্ড স্টেশন রামগতি কর্তৃক একটি উদ্বারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত ডুবে যাওয়া এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজ থেকে ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করে।
এই কর্মকর্তা বলেন, তবে ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হবে। উদ্ধার সবাইকে জাহাজের মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রামগতি কোষ্টগার্ড ও জাহাজ মালিক সুত্রে জানা যায়, চট্রগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল এমভি মডার্ন মেরিন-১৯’ লাইটার জাহাজ। ২০ অক্টোবর সোমবার মধ্য রাতে ভোলার তজুমদ্দিনে পৌছঁলে অপর এমভি উম্মে হাবিবা লাইটার জাহাজের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওইসময় এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজটির তলদেশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করলে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রামগতি-ভোলার তজুমদ্দিনের সীমানায় সেলিমের টেকের চরে আটকে যায়।
জাহাজের ক্রুরা কোস্ট গার্ডের শরণাপন্ন হন। পরে রামগতি স্টেশনের কোষ্টগার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করেন। তবে এখনো জাহাজ ডুবে রয়েছে। সেখানে কয়লাভর্তি রয়েছে।