শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট: ভয়েস অফ সুন্দরবন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৭৫ নং নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তীব্র সংকটে বারান্দাতেই চলছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ৩৬৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ৪টি কক্ষ। এর মধ্যে একটি কক্ষ প্রাক-প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দ থাকায় বাকি শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে কিংবা খোলা বারান্দায় বসেই ক্লাস করতে হচ্ছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী বারান্দায় বসে রৌদ্রের তীব্র উত্তাপ সহ্য করে ক্লাস করছে। এসময় কেউ কেউ গরমে বিরক্ত হয়ে পড়াশোনায় অনীহা অনীহা প্রকাশ করে। বিদ্যালয়টি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত হলেও দীর্ঘদিনেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তরু মন্ডল জানায়, “বারান্দায় ক্লাস করলেবাইরে মানুষের হাঁটাহাটি ও যানবাহনের শব্দে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায় না। রোদে ড্রেস ভিজে যায়। আবার বৃষ্টি হলে বই-খাতা ভিজে যাওয়ার ভয় থাকে।”
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার বলে, “বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ চমকালে খুব ভয় লাগে। দৌড়ে অন্য শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যাই।বাতাসে ভিজে যাওয়া আমাদের নিত্যকার ঘটনা।”শিক্ষকদের অসহায়ত্ব বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছে। গরমে, বৃষ্টিতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়।”প্রধান শিক্ষক গ. ম. জাহাঙ্গীর ফারুক বলেন, “প্রাক-প্রাথমিকের জন্য একটি কক্ষ আলাদা রাখা হয়েছে। ফলে বাকি কক্ষে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির পাঠদান চালাতে গিয়ে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণির ২টি করে শাখা থাকায় বাধ্য হয়ে বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়। স্কুলে জায়গার স্বল্পতা থাকলেও বহুতল ভবন নির্মাণ করা গেলে সংকট দূর করা সম্ভব। আমাদের আরও অন্তত ৮টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন।”শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “আগে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ডিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। তবে নতুন বরাদ্দ এলে ৭৫ নং নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অগ্রাধিকার পাবে।”
##
এস কে সিরাজ