শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
ব্রেকিং নিউজ:

কুমিল্লা জেলার প্রতিটি থানায় সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কুমিল্লার কথা’। আপনি যদি সাংবাদিকতায় আগ্রহী হন, সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান, তাহলে এ সুযোগ আপনার জন্য। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 'কুমিল্লার কথা' অফিসে বা নিন্মে দেয়া মোবাইল নাম্বারে।

শ্যামনগরের নূরনগর তহশীল অফিসের পিয়ন ইদ্রিস মোল্লার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূনীতি সহ নানান অভিযোগ উঠেছে

Reporter Name
Update Time : শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

ভয়েজ অব সুন্দরবন।।
।। শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়ন তহশীল অফিসের পিয়ন ইদ্রিস মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার রোলে উক্ত তহশীল অফিসে কাজ করে বনে গেছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। খাজনা দাখিলা কর্তন, মিউটেশন রেকর্ড, গেজেট পরচা প্রদান,এস এ খতিয়ান প্রদান সহ নানান কাজ করে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা। এদিকে জৈনক মিরালি মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে কয়েক-শ” বিঘা জমি  পাইয়ে দেওয়ার সুবাদে উক্ত পিয়ন ইদ্রিস মোল্লা নিজের নামেও হাতিয়ে নিয়েছে ৩০ বিঘার অধিক জমি। এছাড়া সরকারি খাস সম্পত্তি নিজের ভাই ও ভাবির নামে বন্দোবস্ত নিয়ে দখল নিয়েছেন বলে স্থানীয় এলাকার মানুষ জানিয়েছে।  পূর্বের  ফিরোজা নামের এক ঝাড়ুদারকে বিভিন্ন সমস্যা করে তাকে সরিয়ে দিয়ে উক্ত পদে নিজেই ঢুকে পড়েন ইদ্রিস আলী ,এমন অভিযোগ একাধিক ব্যক্তির।
দুরমুজ খালি এলাকার রহমত আলী জানান,  খাজনা দাখিলা কাটত গেলে ইদ্রিস আলীকে আগে টাকা দেওয়া লাগে, একশত টাকার খাজনা দাখিলায়  তাকে পাঁচশত টাকা দিতে হয়। এসব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে, মিজানুর রহমান ও ফিরোজা বেগম নামের দুই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার কে দায়িত্ব দিলে, উপজেলা সহকারী কমিশনার সংশ্লিষ্ট নুরনগর তহশীলদারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে নুরনগর ইউনিয়ন তসিলদার রনজিত কুমার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি দুই পক্ষকে নিয়ে তদন্ত করে সঠিক যে টি হয় ,সেটি আমি স্যারের কাছে প্রেরণ করবো, এ বিষয়ে আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
এদিকে তহশীল অফিসের পিয়ন ইদ্রিস আলী মোল্লা বলেন ,অভিযোগকারীদের সাথে আমার পারিবারিক দ্বন্দ থাকার কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য। তাদের এ সকল অভিযোগগুলো আদৌও সত্য না, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
#