এস কে সিরাজ, শ্যামনগর
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যের নদী ও খালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ও কাঁকড়া ধরছে অবাধে জেলেরা। মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজননের জন্য সুন্দরবনের গভীরে কিছু নদী ও খালে অভ্যয়ারণ্যে ঘোষিত রয়েছে-সেখানে সকল প্রকার নৌযান ও জেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে সাপ্তাহিক ও গোন চুক্তিতে অসাধু জেলেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব জেলেরা সাতক্ষীরা রেন্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন এর সহযোগিতায় প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য নটাবেকী, হলদেবুনিয়া সহ দোবেকী, কাছিকাটা ও বিভিন্ন এলাকার খাল ও নদীতে মাছ বা কাঁকড়া ধরছে। উক্ত কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তার সাথে সাপ্তাহিক ১৫ দিন বা মাসিক চুক্তিতে তারা মাছ বা কাঁকড়া ধরছে। মাঝে মাঝে সহকারী বন সংরক্ষক অভিযান পরিচালনা করে জেলে নৌকাসহ
জেলে ও মাছ ধরার সরঞ্জামসহ আটক করে আইনের আওতায় নিলেও জামিন নিয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে জেলেদের। বর্তমানে সুন্দরবনে সকল জেলে, মৌয়াল, বাওয়াল সহ সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা সরকারী ভাবে থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। একদিকে সরকারি নিষেধ না মেনে বন কর্মকর্তা অধিক লাভের আশায় অবৈধ ভাবে জেলেদের সুন্দরবনে মাছ কাকড়া ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে। বছরের এই সময় টায় সুন্দরবনের অভয়ারণ্য খালগুলোতে প্রচুর মাছ কাকড়া পাওয়া যায়। সে কারনে জেলেরা বনকর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক বা গোন চুক্তিতে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে যত্রতত্র থেকে মাছ কাকড়া ধরা অব্যাহত রেখেছে।
জেলেরা জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মান্দারবা-ড়িয়া, পুষ্পকাটি, আঙরাকোনা, কাকাদোবেকী, নোটাবেকী, হলদেবুনিয়া, বালিঝাকী, ডিঙ্গিমারী, কাচিকাটা, মেটে, পাকড়াতলী এলাকায় শত শত জেলেনৌকা অবৈধভাবে মাছ ও কাঁকড়া ধরছে। তারা জানান, যখন বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা টহলে আসেন তখন ফাঁড়ি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক করলে তারা ছোট ছোট খালে নিজেদের গোপন করে রাখে। এভাবে অবাধে মাছ ও কাঁকড়া ধরার কারণে সুন্দরবনের নদী ও খাল হচ্ছে মৎস্যজাত প্রাণীশূন্য হচ্ছে দিনে দিনে।
এদিকে সাতক্ষীরা রেন্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন আসার পর থেকে এধরনের অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে।
এ ব্যাপারে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন কে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন রিসিভ না হওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয় নি।